খুঁজুন
শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১১ শ্রাবণ, ১৪৩২

অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরা লিটন

অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরা লিটন

অনলাইন ডেস্ক ।।
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩, ৩:০৬ অপরাহ্ণ
অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরা লিটন

রোববার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ ওভারে ৭ রানে ২ ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যাওয়া দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দিতে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেন অধিনায়ক লিটন দাস।

লিটনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৭ রানে ২ উইকেট পতনের পর তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫৫ বলে ৬৯ আর পঞ্চম উইকেটে শামীম হোসেন পাটোয়ারির সঙ্গে ৩৯ বলে ৭৭ রানে জুটি গড়ে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর উপহার দেন লিটন।

লিটন দলের হয়ে ৫০ বল মোকাবেলা করে একটি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করে দলের জয়ে অবদান রেখে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন।

শ্রীলংকা ১২০ বলে ১৭৮ রানের টার্গেট তাড়ায় ১৫.২ ওভারে ৯৪ রানে অলআউট হয়। বাংলাদেশের ৮৩ রানের জয়ে ৩ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। দুটি করে উইকেট নেন দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত ‘মরিয়া’ প্রমাণ করেছে, তারা ভারতের লোক: সালাহউদ্দিন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ণ
আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত ‘মরিয়া’ প্রমাণ করেছে, তারা ভারতের লোক: সালাহউদ্দিন

আওয়ামী লীগকে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ভারতে আশ্রয় নিয়ে আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত ‘মরিয়া’ প্রমাণ করেছে, তারা ভারতের লোক।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জুলাই আপ্রাইজিং অ্যান্ড রিউমার ইন পলিটিকস’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলে সালাহউদ্দিন আহমদ। বাংলাদেশ সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যানালাইসিস নামের একটি প্ল্যাটফর্ম এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

কোনো অবস্থায়ই যেন বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান না হয়, সে আহ্বান জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শেষ পর্যন্ত মরিয়া প্রমাণ করিল, তারা ভারতের লোক। কারণ, তারা (দেশকে) ভারতের করদরাজ্য বানানোর জন্য এখানে অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটা জায়গায় তারা সফল হয়েছে যে নিজে অন্তত আশ্রয়টা পেয়েছে, এইটুকু।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের মহাসমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘কেউ কেউ বলছে, আমাদের কেউ কেন যায়নি। আমাদের দাওয়াতই দেয়নি, যাব কীভাবে! দাওয়াত দিলেই যে যেতে পারত, এমনও তো না। সবকিছুতেই ব্লেম (দোষারোপ) করা।’

বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এই নেতা বলেন, ‘সংস্কার কেন হচ্ছে না, এ জন্যও বিএনপিকে দায়ী করা হচ্ছে। আমি প্রতিনিয়ত মিডিয়াতে বলছি যে সংস্কারের যখন কেউ “স” উচ্চারণ করেনি, তখন আমরা সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছি আরও দুই বছর আগে। এই সরকারের দায়িত্ব নেওয়ারও এক বছর আগে।

এ সময় সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিকে যারা পলুটেড (কালিমালিপ্ত) করে বা গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিকে অপমানিত করে যারা বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের অপপ্রচার করছে, এর শেষ কী? এর শেষ হচ্ছে, আমরা আমাদের গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামের ইতিহাসকে অপমান করছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এখন আমরা গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো বিভক্ত হয়ে পড়ছি। এখনো নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা হয়নি। এখনো নির্বাচন কমিশনে যথাযথ প্রক্রিয়ায় কোনো নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টা দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। সেই অবস্থার মধ্যেই সবাই পিআর পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) বলে চিল্লাচ্ছে। আজকেও পিআর পিআর করে মহাসমাবেশ একটা করছে।’

এ প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা এখনো ইভিএমে (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) টিপ দেওয়াটা শেখাতে পারিনি, এখন আমরা আছি পিআর নিয়ে। এখানে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনে যে যার ভাগ-বাঁটোয়ারা পাবে, এ নিয়ে ব্যস্ত আছে। কিন্তু গণতন্ত্রের কী অবস্থা হবে, কোনো দল সরকার গঠন করার মতো মেজরিটি (সংখ্যাগরিষ্ঠতা) পাবে কি না এবং তাহলে অস্থিতিশীল একটা ঝুলন্ত সংসদ হলে দেশের কী অবস্থা হবে, এসব কিছু তাদের মাথায় নেই। সারা দেশে সব মিলিয়ে তিন লাখ ভোট পেলে একটা সিট পাবে, এই চিন্তায় তারা আছে।’

রাজনৈতিক দলগুলোকে ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ ত্যাগের আহ্বান জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘একটা উন্নত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ সৃজন করার জন্য যে সংস্কারের মধ্য দিয়ে আমরা যেতে চাচ্ছি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করার জন্য আমাদের যে তাগিদ, এগুলো সবকিছু পূরণ করার জন্য আমাদের একটা দ্রুত নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার দরকার।’

গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জিয়াউদ্দীন হায়দার, আইনজীবী রাশনা ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সালমা বেগম ও তানভীর হাসান জুয়েল, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলরের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম প্রমুখ।

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ৩

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫, ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ৩

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে হামলা–সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল ও পরিবার সূত্র প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫), কোটালীপাড়ার রমজান কাজী (১৮) ও টুঙ্গীপাড়ার সোহেল মোল্লা (৪১)।

আজ বুধবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁরা গুলিবিদ্ধ ছিলেন।

প্রথম আলো স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিহত দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হয়। পরে রাত সাড়ে সাতটার দিকে অপরজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয় প্রথম আলো।

হাসপাতালের কর্মকর্তা জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, আরও ৯ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের অস্ত্রোপচার চলছে।

মৃত্যুর তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ধরেননি।

তথ্য জানতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ কামরুজ্জামান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. গোলাম কবিরকে কল দিলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি।

নিহত দীপ্ত সাহার চাচা হাসপাতালে প্রথম আলোকে বলেন, দীপ্ত দুপুরের খাবার খেয়ে তাঁর দোকানে যাচ্ছিলেন। শহরের চৌরঙ্গীতে তাঁর পেটে গুলি লাগে।

নিহত রমজান কাজীর বাবা কামরুল কাজী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলছে। আমার ছেলে তো কোনো দোষ করেনি। আমি আমার সন্তানকে কোথায় পাব?’

নিহত সোহেল মোল্লা গোপালগঞ্জ শহরের চৌরঙ্গী এলাকার কেরামত আলী প্লাজায় মোবাইল ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর পরিচয় নিশ্চিত করেছেন একই মার্কেটের দোকানদার জনি খান।

এর আগে গোপালগঞ্জের পৌর পার্কে এনসিপির সমাবেশ শেষে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে এনসিপির নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলা চালান। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

হামলার ঘটনার পর এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। তাদের (এনসিপি) বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন, পরিস্থিতি ঠিক নেই।

এর আগে বেলা পৌনে ২টার দিকে সমাবেশ শুরুর আগে ২০০ থেকে ৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে এনসিপির সমাবেশস্থলে যান। সে সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। একই সময়ে মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে থাকা এনসিপির নেতা-কর্মীরাও দৌড়ে সরে যান। যাঁরা হামলা চালান, তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে এনসিপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেছিলেন। ওই সময় হামলাকারীরা মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর করেন, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন।

একপর্যায়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশ এক হয়ে ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। বেলা ২টা ৫ মিনিটে সমাবেশস্থলে পৌঁছান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে সমাবেশ করে এনসিপি। সমাবেশ শেষে এনসিপির নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলার ঘটনা ঘটে।

এর আগে এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের সদর উপজেলার কংশুরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের গাড়ি পোড়ানোর একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, গাড়ি পোড়ানোর সময় সেখানে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের গোপালগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. পিয়ালকে লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। অন্য আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা পিয়াল ভাইয়ের সাথে আছি।’

কক্সবাজারে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে জামায়াতের সন্ত্রাসীরা!

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই, ২০২৫, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
কক্সবাজারে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে জামায়াতের সন্ত্রাসীরা!

 

কক্সবাজার শহরের ফাতের ঘোনা এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট সভাপতির নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন ভারুয়াখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব রহিম উদ্দিন সিকদার।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এই ত্যাগী ও জনপ্রিয় বিএনপি নেতাকে। রবিবার রাতে রহিম সহ তার সহযোগীদের ওপর স্থানীয় ফাতের ঘোনা ইউনিট জামায়াতের সভাপতি আব্দুল আল নোমান, তার জামাই মিজান, মুজিব ও এনাম সহ জামাতশিবিরে সন্ত্রাসীরা হামলায় চালায়। হামলায় গুরুতর আহত রহিম উদ্দিন সিকদারসহ অন্যদের প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রহিম সিকদারকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করা হয়, সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মঙ্গলবার, জুলাই ১৫, ২০২৫